সাবেক অর্থমন্ত্রী কিবরিয়া হত্যার ১৩ বছর পূর্ণ , মামলার বিচার কাজে বিলম্বিত
সংবাদচর্চা ডেস্ক:
আজ ২৭ জানুয়ারি আওয়ামীলীগের সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এএমএস কিবরিয়া হত্যার ১৩ বছর পূর্ণ হলো। ২০০৫ সালের এ দিনে হবিগঞ্জ সদর উপজেলার বৈদ্যের বাজারে স্থানীয় আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় যোগ দেন সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এএমএস কিবরিয়া।
জনসভা শেষে ফেরার সময় দুর্বৃত্তদের গ্রেনেড হামলায় তিনি ও তার ভাতিজা শাহ মঞ্জুর হুদাসহ নিহত হন মোট পাঁচজন। এতে আহত হন ৪৩ জন।
উক্ত ঘটনায় হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে পৃথক দু’টি মামলা দায়ের করা হয়।দফায় দফায় তদন্তের বেড়াজালে আটকে থাকা এ নির্মম হত্যাকাণ্ডের বিচার শুরু হয়েছে প্রায় দু’বছর পূর্বে। কিন্তু নানা জটিলতায় আবারও মামলার বিচার বিলম্বিত হচ্ছে।
কয়েক দফা তদন্ত শেষে সর্বশেষ চার্জশিটে সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুত্ফুজ্জামান বাবর, খালেদা জিয়ার সাবেক রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী, সিলেটের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী ও হবিগঞ্জের মেয়র জি কে গউছসহ ৩২ জনের বিরুদ্ধে দু’টি মামলারই চার্জশিট দেন তদন্ত কর্মকর্তা। কিন্তু দফায় দফায় তদন্তের বেড়াজালে আটকে থাকা লোমহর্ষক এ হত্যাকাণ্ডের বিচার শুরু হয়েছে প্রায় ২ বছর পূর্বে।
আইনি জটিলতায় বিচারটি বিলম্বিত হচ্ছে জানিয়ে মামলার বাদী মো. আব্দুল মজিদ খান এমপি বলেন, মামলায় মোট ১৭১ জন সাক্ষী আছেন। আমি ইতিমধ্যেই বাদী হিসেবে আদালতে সাক্ষী দিয়েছি। কিন্তু নানা আইনি জটিলতার কারণে মাত্র ২৪ জন সাক্ষী আদালতে সাক্ষ্য দিতে পেরেছেন। ফৌজদারি আইনের বিধান অনুযায়ী সাক্ষী আদালতে হাজির হলে এবং আসামি জেল হাজতে থাকলে তাকে আদালতে হাজির করতে হয়। আসামি হাজির না করা গেলে সাক্ষী নেয়া যাবে না। এ মামলার গুরুত্বপূর্ণ আসামিরা বিভিন্ন মামলার আসামি থাকায় তাদের ঠিকমতো আদালতে হাজির করা সম্ভব হয় না। ফলে সাক্ষ্যও নেয়া যায় না।